আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি ভালো আছেন আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ইউটিউব নিয়ে ।
যারা ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য এই লেখা- তো চলুন শুরু করা যাক👉👉👉👉
১। ইউটিউবের চ্যানেল খোলা- 👉👉
ইউটিউবের চ্যানেল খুলতে শুধু মাত্র একটা জিমেইল হলেই হবে। আর সাথে তো ডিভাইস আছেই । জিমেল খুলতে এখানে ক্লিক করুন ।
২। চ্যানেল নাম -
যেহেতু আপনি জিমেল দিয়ে ইউটিউব খোলেছেন বা খোলবেন , তাই প্রথমে জিমেইলে যে নাম দিবেন সে নামই থাকবে। আপনি পরবর্তিতে নতুন নাম দিতে পারবেন।
৩। চ্যানেল কাস্টোমাইজ -
চ্যানেল খুললেন, এখন সেটা যদি না সাজান তাহলে কিভাবে পরিচিতি লাভ করবেন?
এই জন্য চ্যানেল সাজানো অনেক অনেক গুরুত্ব পূর্ণ। যা যা করনীয় - আপনার চ্যানেলের জন্য লগো চয়েস করুন। এর পর আপনি চ্যানেলের জন্য একটা ব্যানার বা ইউটিউব কভার ফটো বানাবেন।
ইটিউবের জন্য ব্যানার বানাতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বা অন্য যে কোন জায়গা থেকে করে নিতে পারেন।
৪। এরপর আসি আপনি ''কোন ধরনের ভিডিও আপলোড করবেন''।
দেখুন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি কেন , কেউ ই দিতে পারবে না। কারণ, যাদের জন্য আপনি ভিডিও করবেন তাদের প্রয়োজনে আপনার ভিডিও গুলো দেখবে। এখন আপনার চ্যানেলে যদি কার্টুনের ভিডিও থাকে, যাদের কার্টুন পছন্দ তারা দেখলো, কিন্তু যারা মিউজিক বা রান্নার ভিডিও দেখে তারা কি কার্টুন দেখবে? না , তারা কার্টুন দেখবেনা। এই জন্য বললাম, যার যা প্রয়োজন তা খুজে নিবে। ইউটিউবের ভিডিওর অভাব নেই। তাই মানুষের প্রয়োজনে আপনার ভিডিও গুলো দেখবে নাকি দেখবে না তারও কোন ঠিক নেই। কারন এক বিষয়ের উপর শত শত ভিডিও পায় মানুষ, এর মাঝে আপনার ভিডিও গুলো যদি সুন্দর হয় ভালো লাগে তবে আমি ৫০% গেরান্টি দিতে পারি দেখবে। আর একটা কথা কি জানেন ভালো ভিডিও হলেই হবে না, ভিডিও হতে হবে তথ্য বহুল ও তথ্য হতে হবে সঠিক। মানে, এইসডি, এইসডি+ রেগুলেশন হলেই হবেনা, সাথে কন্টেন্ট গুলো সঠিক হয় তবে দেখবে।
৫। ভিডিও টাইটেল ও ডিপক্রিপশন --🆗
এই বিষয় টা মারাত্তক ভাবে জরুরি, আপনার ভিডিওর যদি টাইটেল না ঠিক থাকে মানে ভিডিও দিলেন একটা আর টাইটেল দিলেন অন্যটা তাহলে কিন্তু মানুষ আপনার ভিডিও পাবেনা। আর ভিডিওর ভিতরে কি কি থাকে তা নিয়ে ডিপক্রিপশন বক্সে অল্প হলেও কিছু কথা রাখা উচিৎ, কারণ মানুষ টাইটেল লেখা দেখে অনেকে এই ভিডিওর ভিতরে সে কি ধরনের তথ্য পাবে তা দেখে নেয়। যদি আপনার ভিডিও দেখে তার কোন উপকারে না আসে তবে সে ডিসলাইক দিতে পারে। এভেবে যদি ১০টা ডিসলাইক পরে তাহলে পরের দর্শক গুলো বুঝে নিবে এই ভিডিও কোন কাজের না।
৬। কপিরাইট ক্লাইম ও কপিরাইট স্ট্রাইক ❌
প্রথমে কপিরাইট ক্লাইম নিয়ে আলোচনা করি-
আপনি যদি নিজের কন্টেন্ট বাদে অন্য কোন বা অন্য কারো কন্টেন্ট কপি করে আপনি চালালেন, ইউটিউব তা ধরবে যদি তা ইউটিউব এ্যালগরিদমে থাকে। তবে তা আপলোড করার সময়ই ধরবে মানে কপিরাইট ক্লাইম আসবে, আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে কপিরাইট ক্লাইম শুধু মাত্র ইউটিউব থেকে দেয়। এটা তেমন কোন ক্ষতিকর নয়।
এবার কপিরাইট স্ট্রাইক -
আপনি যদি অন্যের চ্যানেলের ভিডিও নিজের চ্যানেলে ডাউনলোড করে আপলোড করেন তবে এই ডিডিওর যে প্রকৃত মালিক, তাকে ইউটিউব মেইলে জানিয়ে দেবে। এটা হতে পারে সাথে সাথে বা সাতদিন পরে বা একমাস পরে কিংবা ছয়মাস পর । এর পর যদি ঐ ভিডিওর যে আসল মালিক, সে চাইলে আপনার চ্যানেলে রিপোর্ট দিতে পারে বা স্ট্রাইক দিতে পারে আবার সে ঐ ভিডিও থেকে রিভিনিউ নিতে পারে, এতে করে আপনার আয় কম হবে। আর যদি স্ট্রাইক আসে আপনার চ্যানেলে ৯০ দিনের ভিতর পর পর তিনটা তবে আপনার চ্যানেল সারাজীবনের জন্য হারাবেন। আর ঐ জিমেইলে যদি আরো কোন চ্যানেল থাকে তাহলে সেগুলো সহ হারাবেন।
৭। ইউটিউব মনিটাইজশন- 😇💪
আসলে সব কিছুর ই একটা নিয়ম থাকে, ঠিক তেমনি ভাবে ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে ইউটিউবের নিয়ম মানতে হবে।
সেই নিয়ম হচ্ছে আপনাকে এক বছরের ভিতর ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪ হাজার ওয়াচ টাইম পূর্ণ করতে হবে । তার পর আপনি আবেদন করতে পারবেন। (আগামীতে যদি ইউটিউবের নিয়ম পরিবর্তন করে তাহলে আমি দায়ী না)।😊
এখন আপনি ২ বছর ধরে চেষ্টা করতেছেন কিন্তু তাও পাচ্ছেন না। আর অন্য দিকে আরেক জন ৬মাস কাজ করেই সব পেয়ে বসে আছে সেটা কি করে হয়!!!
কারন, ইউটিউব বলেছে শেষ বারমাস (১২মাস) এর মধ্যে আপনাকে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার ও চার হাজার ওয়াচটাইম পূর্ণ করতে হবে।
তবে সব কিছু খাতিয়ে দেখে যদি ইউটিউবের মনে হয় আপনি ভালো করেছেন তবে পাবেন।
নাহলে দেরী হতে পারে।
*********
আমার এই লেখা যদি ভালো লাগে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আর আমার সাথেই থাকবেন । সময় নিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। 😍