আমাদের আঙুলের ছাপ তৈরি হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় মায়ের শরীরে থাকাকালীন। গর্ভধারণের ১০ সপ্তাহ থেকে শুরু করে ১৪তম সপ্তাহ পর্যন্ত এই আঙুলের ছাপ পুরোপুরি তৈরি হয়ে যায়। এবং তারপর, মানে জন্মের পর কিন্তু আঙুলের ছাপ প্রাকৃতিক ভাবে আর বদলায় না।
কিভাবে আঙুলের ছাপ আসে তা যদি আমরা দেখি, তাহলে দেখা যায় যে আমাদের ত্বকে তিনটি স্তর থাকে- এপিডারমিস (epidermis), বেসেল লেয়ার (basal layer), ডারমিস । এবারে বেসাল লেয়ারটি অন্য দুইয়ের চেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায়, এটি তার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ সৃষ্টি হওয়ায় ফলে এপিডারমিসটা ডারমিসের মধ্যে ভাঁজ হয়ে গিয়ে এরকম প্যাটার্ন তৈরি করে।
আঙুলের ছাপ কেন মেলে না?
এর কারণ কিছুটা জিনগত কিন্তু বেশিরভাগটাই নির্ভর করে মায়ের শরীরে থাকাকালীন তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপর, যেটা কখনও একজন আরেকজনের সাথে মেলে না। রক্তচাপ, মায়ের শরীরে পুষ্টি, হরমোনের মাত্রা, এবং সর্বোপরি মায়ের জরায়ুতে সেই ভ্রূণের একদম ঠিকঠাক অবস্থান, তা মায়ের গর্ভে কতটুকু চাপ খাচ্ছে তার ওপর আঙুলের ছাপ সৃষ্টি হওয়াটা নির্ভর করছে। এবার দেখুন, যমজ সন্তানের ক্ষেত্রেও কিন্তু আঙুলের ছাপ মিলবে না, কারণ দুটো ভ্রূণ মায়ের গর্ভে সমান চাপ পায়নি, একজন কম আর একজন একটু হলেও বেশি পাবে। এটাই এই প্রশ্নের সহজ ভাষায় উত্তর।
প্রকারভেদ- তা ছাড়াও একটু বলে রাখি যে আঙুলের ছাপ মূলত তিন প্রকার হয়- আর্চ (arches), লুপ (loops), হোয়ার্ল (whorls)