আসসালামু আলাইকুম ,
আমার সুপ্রিয় ভাই ও বোনেরা, আশা করি ভালো আছেন,
আজ আমি আপনাদের সাথে খুবই দরকারী কিছু তথ্য শেয়ার করতে যাচ্ছি,
বন্ধুরা, আমরা সবাই কম বেশি সবাই কম্পিউটার ব্যবহার করি, সেই কম্পিউটারের আতঙ্ক ছোট একটি শব্দ ভাইরাস।
ভাইরাস সম্পর্কে জানে না এমন লোক আজকাল পাওয়া মশকিল। কম্পিউটার ভাইরাস এমন একটি প্রোগ্রাম যা আপনার চোখে ধরা পড়ার আগেই আপনার কম্পিউটারের ক্ষতি করার জন্য কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার এর উপর হামলা করে। এর ফলে আপনার কম্পিউটার বিকল হয়ে যেতে পারে।
কম্পিউটার এন্টিভাইরাস |
টাইটেল দেখে আপনি বুঝতে পারছেন আজ আমি কি নিয়ে কথা বলবো।
আপনি জানেন ভাইরাস আছে যেমন, ঠিক তার বিপরীতে এন্টিভাইরাস নামক বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারও আছে! কম্পিউটার এন্টিভাইরাস সাধারণত কম্পিউটার ভাইরাস সনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, কিন্তু আজকাল কতটা প্রয়োজন এই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার গুলো, এর ক্ষতিকারক দিক গুলো নিয়ে আজ আমি আলোচনা করবো।
আপনার কম্পিউটারে কি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার আছে? তাহলে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলবো আপনি অনেক ভুল করছেন, আপনার নিজের অজান্তেই আপনার কম্পিউটারের ক্ষতি করছেন। এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর কারণে সাধারন গতির চেয়ে আপনার কম্পিউটার অনেক দ্বীরগতি (স্লো) হয়ে যায়। আরও কিছু জটিলতা হতে পারে, যেমন আপনার কম্পিউটার থেকে এন্টিভাইরাস কোম্পানি ফাইল চুরি করতে পারে! অনেক সময় আমরা কিছু না বুঝে বিভিন্ন ধরনের ফাইল চুরির খবর পাই।
আপনার কম্পিউটারে তো এন্টিভাইরাস আছেই। তার পরেও ফাইল চুরি হয় কি করে? কখনো কি ভেবে দেখেছেন তা? আসলে আমরা যখন কোন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি, তখন আমাদের যে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে তা স্লো করে দেয়! আর আমরা যে কম্পানীর এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে থাকি তাদের কাছে আমাদের ফাইল গুলোকে জিম্মি করে ফেলি আর সত্যি বলতে, এখন আপনকে অপারেটিং সিস্টেম গুলো এন্টিভাইরাস ফ্রি দিয়ে দেয় কাজেই অন্য কোন থার্টপার্টি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার দরকার হয় না!
Computer-Antivirus |
এখন বলতে পারেন যে আপনার এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার অনেক ভাল, হ্যা, ভালো হলেও আগে থেকে সে কিন্তু নতুন ভাইরাস গুলো চিনতে পারে না! কারণ, যে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার আছে, সেটা যখন থেকে আপনি কোম্পানির কাছ থেকে কিনবেন তা ঐ পর্যন্ত যত গুলো ভাইরাস ছিলো তার তথ্য দেয়া থাকে যখন নাকি ভাইরাস এ্যাটাক করে তখন সে নোটিফিকেশন পাঠিয়ে দেয় আমাদের বা সে নিজে থেকে ঢুকতে দেয় না। কিন্তু যখন নাকি কোন নতুন ভাইরাস সৃষ্টি হয় তার ইনফরমেশন তো কিছুই দেয়া থাকে না তখন নতুন ভাইরাস গুলো খুব সহজে আক্রোমন করে আপনার কম্পিউটারে। ধারনাটা এমন যে, ধরুন আপনি আপনার বাসার সিকোরিটিকে চিনিয়ে দিলেন এই খারাপ লোক একে ভিতরে আসতে দিও না, সেই কথা ভালোকরেই মানলো আপনার গার্ড, আপনি বাড়ির বাহিরে কিছু দিনের জন্য গেলেন এর মধ্যে আপনার সাথে দেখা করতে কিছু নতুন লোক আসলো, কিন্তু গার্ড কাউকে চিনতে পারলো না, কে খারাপ আর কে ভালো। সবাই ভালো বলে আপনার বাড়িতে ঢুকতে দিলো আর সেই সুযোগে খারাপ লোকগুলো আপনার ক্ষতি করতে চেষ্টা করলো, এই গল্পের মতই হলো এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর কাজ।
এটাতো গেল এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার,
এরপর আসি নিজের কমন সেন্স,
কিভাবে আমরা নিজেকে নিজেই সুরক্ষা করতে / রাখতে পারি এটাই মূল ও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যেমন, আপনি যদি কোন ওয়েবসাইটে ঢুকে কোন লোভনীয় বিজ্ঞাপন বা বড় বড় লাল নীল ডাউনলোড বাটন দেখেন কিংবা এমন কোন ছবি থাকে যেটা আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হবে সেটাতে না ক্লিক করা। আপনি যদি এই সমস্ত সাইট গুলো ভিজিট না করে সরে আসতে পারেন তাহলে আপনি ৮৫% ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন, তাহলে আর আপনার এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার লাগবে না। আর কোন সমস্যাও হবেনা। আর যদি মনে করেন যে না আমার এন্টিভাইরাস লাগবেই তবে ভালো মানের টাকা খরচ করে ভালো কম্পানীর এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিতে পারেন।
Windows-10-Microsoft-Defender-Antivirus |
আর আজকাল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ তাদের গ্রহকদের সুরক্ষা রাখতে উইন্ডোজ ডিফেন্ডার নামে উইন্ডোজ ১০ ও ১১ তে এন্টিভাইরাস ফ্রি দিচ্ছে এবং এটা যেকোন থার্টপার্টি এন্টিভাইরাসের তুলনায় অধিক কার্যকর। সেই সাথে এটা অনেক আপডেট, নিত্যনতুন ভাইরাস এর থেকে আমাদের অনেক সুরক্ষা রাখে। তাই আমার পরামর্শ হবে আপনার এন্টিভাইরাস ইনিস্টল না করা।আর যদি আপনি উইন্ডোজ সেভেন-৭ বা এক্সপি ব্যবহার করেন তবে আমার জানামতে ডিফোল্ডার এন্টিভাইরাস কাজ করে না খুব বেশি। তাই উইন্ডোজ ১০ বা ১১ ব্যবহার করা ভালো হবে।
কাজেই আলাদা কোন এন্টিভাইরাস লাগে না। আপনার কম্পিউটার থাকুক নিরাপদে এই কামনা করে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ, জানা হবে পরের কোন নতুন বিষয় নিয়ে।
এই লেখা যদি আপনার সামান্য উপকারে আসে তবে আপনার বন্ধুদের সাথে এর লিংক শেয়ার করবেন।