বলা হয়, বিনামূল্যে কোনোকিছু পাওয়া গেলে সেখানে ব্যবহারকারীকেই বিক্রি করা হয়। বর্তমানের সকল ফ্রি সার্ভিস, যেমনঃ ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি এই ধারণার নিরিখেই নির্মিত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিনামূল্যে ব্যবহার করা গেলেও এরা গ্রাহকের ব্যাক্তিগত তথ্য এডভার্টাইজারদের কাছে তুলে ধরেন, যাতে তারা উক্ত প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারে। এতে মূলত সোস্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ও বিজ্ঞাপনদাতা, উভয়েরই লাভ হয়। মাঝখান থেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয় ব্যবহারকারীগণ। কেননা, এই বিজ্ঞাপনের প্রক্রিয়াতে ব্যবহারকারীদের ব্যাক্তিগত তথ্য বিকিয়ে দেওয়া হয়।
এবার আসি হোয়াটসঅ্যাপের কথায়। হোয়াটসঅ্যাপ হলো ফেসবুক এর মালিকানাধীন একটি অ্যাপ। ফেসবুক এতোদিন ধরে বিজ্ঞাপন ভিত্তিক বিজনেস মডেল অনুসরণ করে আসছিলো। আর এটিকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে এবার হোয়াটসঅ্যাপ এর ব্যবহারকারীদের ডাটাতে নজর দিয়েছে ফেসবুক।
ব্যাপারটি নিয়ে অধিকাংশ মানুষ চিন্তিত থাকলেও আমি বলবো, এখানে চিন্তার কোনো দরকার নেই। কেননা, আমাদের ডাটা ইতিমধ্যেই উক্ত সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানির কাছে রয়েছেই। তারা যদি আমাদের না জানিয়েও এই ডাটা ব্যবহার করে, তাহলেও আমাদের কিছু করার নেই।"কিছু পেতে হলে, কিছু দিতে হয়", — এই নীতি এখানেও প্রযোজ্য। এখানে আপনি আপনার ব্যাক্তিগত তথ্যকে পরিবার বা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগের সুবিধার জন্য স্যাক্রিফাইস করছেন।"আমাদের আরো বেশি করে সতের্ক হতে হবে!!!!